বৃষ্টি কাদার ঢাকা

 "If life gives you lemons, make lemonade" - যদিও সেই লেমনেড আমি নিজে বানাই না। আরেকজন বানায় দেয়। চা আমার পছন্দ না হইলেও লেমন চা এইরকম বৃষ্টির দিনে একটা মাস্ট বিষয়। বৃষ্টি আমার পছন্দের জিনিস, চাকুরীজীবী পাবলিকের ভোগান্তি দেইখা ভাল লাগতেসে।

রেইনকোট পইরা বাইর হইসিলাম, সেই্টা কোন কামে আসে নাই। জুতা, প্যান্ট, জামা, মানিব্যাগ, মোবাইল, রেইনকোট সব ভিজা চুপসাইয়া গ্যাছে। এরা কেউ অভিযোগ না করলেও, মোবাইল খালি একবার বলসে, "বস, USB পোর্টে মনে হয় লিকুইড গ্যাছে। পোর্ট ডিজেবল করে দিসি।"

কর আমার কি? ২০২৫ সালে আইসা যদি পানির ডরে মোবাইল বাইর কইরা বৃষ্টির ছবি না তুলি তবে কেমনে কি? তোরে IP67 সার্টিফিকেট কে দিসে? তোর শিক্ষা সমাপ্ত হয় নাই। তুই সার্টিফিকেট জমা দিয়া রাজনীতি কর গিয়া। এইটা দ্যাশে ভালো চলে। আর পোর্ট ডিজেবল করে কি করবি? পুরা দেশটাই একটা ডিজেবল জোন।



স্কুলের বাচ্চাদের জন্য খারাপ লাগতেসে কিছুটা। ভিজা অবস্থায় ক্লাস করা মুশকিল। তবে আজকে  কোরবানির আগে শেষ ক্লাস, বৃষ্টিতে জানালার পাশে বইসা থাকতে হয়, বন্ধু-বান্ধবীর সাথে আড্ডা দিতে হয়, বই খোলাটা একটা পাপ।

বৃষ্টির ফোটার ছবি তোলা যায় না, ভিডিও করলে তাও কিছুটা বোঝা যায়। আলোর প্রতিফলন আর প্রতিসরনের মারাত্বক খেলা চলে। গরম লেমনেড খাইতে খাইতে একহাতে এই ম্যানুয়াল সেটিংস করা দুষ্কর।

লাল রঙের শিমুল ফুলের গাছের ফাঁক দিয়া অঝোরে বৃষ্টি একটা চমৎকার দেখার বিষয়। যদিও ঢাকা নান্দনিক শহর না। এইখানে বৃষ্টি আসলে শহরটা আরো নোংরা হয়ে যায়। মনে হয় মানুষের মনের নোংরা গুলা বাইর হইয়া রাস্তায় গড়াইতেসে।


মন্তব্যসমূহ

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন